মাহফুজ নান্টু।।
কারো বাবা নেই কারো মা নেই। কারো বাবা মা কেউ নেই। এমন পথশিশুদের নিয়ে ভিন্নভাবে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অন্বেষণ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল এসব শিশুদের মুখে তুলে দেয়া হয়েছে মজার সব খাবার।
পথশিশু হলেও তারা য স্বপ্ন দেখে আকাশ ছোঁয়ার। কেউ ব্যবসায়ী,কেউ শিক্ষক কেউবা চিকিৎসক হতে চান। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছে অন্বেষণ।
তাই ভালোবাসা দিবসে মঙ্গলবার নগরীর একটি মিলনায়তনে এই উপলক্ষে আলোচনা, ছড়া- কবিতা আবৃত্তি, গান-নাচ, র্যফেল ড্র ও ভালো খাবারের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের উপদেষ্টা মো. রুহুল আমিন ও সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ মিজান, ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র জাহিদ হাসান ছোটন পথশিশুদের প্রথম পড়ানোর উদ্যোগ নেন। তার সাথে আমরা সম্পৃক্ত হই। আমরা তখন অনার্সের ছাত্র। পথশিশুদের মাদক থেকে ফিরিয়ে পড়ায় বসানো সহজ ছিলো না। বস্তি এলাকা ও বিভিন্ন পাড়ায় গিয়ে শিশুদের সংগ্রহ করতে হয়েছে।
প্রথমে অভিভাবকরা আমাদের বিশ্বাস করতেন না। বলতেন-পড়ে কী লাভ। ভাত পাই না খাইতে পড়ালেখা দিয়ে কী হবে? তারা ওয়ার্কসপে কাজ করলে দুটো পয়সা আয় হবে। প্রথমে টাউন হল মাঠে পড়াতাম। পরে দৌলতপুরে পড়াই। তারপরে বিভিন্ন স্কুলে তাদের ভর্তি করাই। তাদের শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করি। আমাদের হাত খরচ থেকে এই সহায়তা করি। এখন আমরা অনেকে চাকরিজীবী। নিজেরা চাঁদা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াই।
সংগঠনের উপদেষ্টা কুমিল্লার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান ও সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, অন্বেষণের বন্ধুরা সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের এগিয়ে দিতে কাজ করছে। এটাই প্রকৃত ভালোবাসা। এই শিশুদের নিজেদের প্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছে। এতে সমাজে ভারসাম্য তৈরি হবে। তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page